শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

পপুলার২৪নিউজ প্রতিবেদক :

রাজধানীর মিরপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনু হাজী হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- মো. মিন্টু, মাসুদুর রহমান ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন ওরফে লোটাস ওরফে নুরুজ্জামান ও মো. নোমান ইবনে বাসার ওরফে বাবু।

নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি মাহমুদুর রহমান ওরফে সোহেল, হাসান সারোয়ার ওরফে মো. জিকুর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া জাহানারা নামে আরেক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন।

এ মামলায় সোহেল, জিকু, লিটন ও টিভিএস বাবু কারাগারে আছেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ বাকিরা পলাতক।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, “রায়ে আদালত বলেছেন- মাসুদুর রহমান তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, লিটন হোসেন লোটাস ওরফে নূরুজ্জামান সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়, গুলি করেছিল। আর শাহাদাত ও মো. মিন্টু এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। এ দুজনই এক কোটি টাকা চেয়েছিল মনির উদ্দিন মনুর কাছে। এই টাকা না দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।”

তিনি বলেন, মনু হত্যাকাণ্ডে সোহেল ও জিকুর সহযোগিতা থাকলেও তারা সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেননি বিবেচনায় তাদের ফাঁসি থেকে রেহাই দেয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরের ৪৯/৩ শাহআলী বাগে বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে খুন হন মনু।

রাজধানীর মিরপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মনির উদ্দিন মনু ওরফে মনু হাজী হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ সাতজনকে ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মৃত্যুদণ্ড দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আদালত এ মামলায় এক নারী আসামি জাহানারাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় দেন। পরে নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।

এদিকে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরে ৪৯/৩ শাহ আলী বাগের বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে বসে থাকা অবস্থায় মনির উদ্দিন মনুকে অস্ত্রধারী আসামিরা পরপর আট রাউন্ড গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

শাহাদাত ও মিন্টু তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী মনুর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। তা না পেয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে ওইদিনই নিহতের ভাই মো. আকবর আলী রাজধানীর মিরপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩২ ধারা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধএবার লাঙলের জোয়াল কাঁধে পড়বে : রাষ্ট্রপতি